।কোন প্রকার ক্ষমতায় না থেকেও জনগণের সাথেই থেকে নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম দীর্ঘদিন করে এসেছি, করেই যাবো ।
কোন প্রকার ক্ষমতায় না থেকেও জনগণের সাথেই থেকে নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম দীর্ঘদিন করে এসেছি, করেই যাবো ।আমি প্রতিশ্রুতি দিই না, আদায় করি।আর তা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত দমি না।১৯৮৭ থেকে আজ পর্যন্ত জলাবদ্ধতার স্হায়ী সমাধান সহ চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সোচ্চার আছি। ১৯৮৯ সালের ৩০-৩১ ডিসেম্বর ৪৮ ঘন্টা হরতাল করে অনেক প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলাম , যদিও হরতালের ডাক দেযায় আমার উপর হুলিয়া জারী হলোা। এর আগে
গেলাম কারাগারে । এর আরও আগে আমাদের আন্দোলনের প্রথম ধাক্কায় ১৯৮৯ কর্ণফুলীর উপর শাহ আমানত সেতুটি নির্মিত হলো যেটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের চেহারা কিছুটা পাল্টে দিলো। এরপরও থামিনি এবং কালুরঘাট সেতুটি নতুন করে আধুনিক মান সম্মত করে নির্মাণের দাবী তুলেছিলাম ১৯৯১ সালে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্রসারণ, চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং কর্ণফুলীর নীচে টানেল নির্মাণের যে দাবী তুলেছিলাম সেটি এরশাদের সরকার প্রথমে দ্বিমত হলেও পরে নীতিগতভাবে একের পর এক মেনে নেন এবং বিদেশী কন্সালটেন্টস দিয়ে জরীপ শুরু করেন । আন্দোলন এবং ১৫ দফা ইত্যাদির আলোকে আর একটি সফলতা ছিলো ১৯৯৫ সালে মহানগরীর মাস্টার প্ল্যানটি সংশোধন করা যার মধ্যে ছিলো কয়েকবছরের মধ্য জলাবদ্ধতার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন, নতুন খাল খনন, সডক ও লিংক রোড, শহর রক্ষা বাঁধ ইত্যাদি । কিন্তু দু:খের বিষয়, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের সাথে কালুরঘাট সেতুটি অন্তর্ভূক্ত করতে এমপি মন্ত্রী কেউ উদ্যোগ নিলেন না ।তখন এটি করা হলে আজ আমরা নতুন সেতুর উপর চলাফেরা করতে পারতাম । আমি ভেবেছিলাম এটি স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্ভূক্ত থাকবে । এখন বাজেট সীমিত করণের সময়ে আমি চেষ্টা করেছি কালুরঘাট সেতুটির ইস্যুকে অগ্রাধিকারে নিয়ে আসতে যার জন্য ছিলো অনশন ও স্মারকলিপি প্রদান । আর এর ফলশ্রুতিতে ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এই ইস্যুটি চলে আসে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বলেছেন হবে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই কবে হবে? আমরা আর কালবিলম্ব মেনে নিতে পারছি না । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন ।